উইন্ডোজ ১১ আগস্ট ২০২৫ আপডেটে শক্তিশালী এআই ফিচার যুক্ত

উইন্ডোজ ১১ আগস্ট ২০২৫ আপডেটে শক্তিশালী এআই ফিচার যুক্ত


উইন্ডোজ ১১ এর আগস্ট ২০২৫ আপডেটে অনেক নতুন এআই ফিচার যুক্ত করা হয়েছে যা আপনার কম্পিউটার ব্যবহারকে অনেক সহজ ও স্মার্ট করে তুলবে। এই আপডেটের ফলে আপনি আপনার পিসিতে এআই এর সাহায্যে অনেক কাজ দ্রুত এবং ভালোভাবে করতে পারবেন।

এই লেখায় খুব সহজ বাংলায় জানানো হবে, এই নতুন ফিচারগুলো কি কি এবং কিভাবে এগুলো আপনার দৈনন্দিন পিসি ব্যবহারে সুবিধা দেবে।

উইন্ডোজ ১১ এ নতুন কি কি এআই ফিচার এসেছে?

১. উইন্ডোজ রিকল (Windows Recall)

উইন্ডোজ রিকল একটি নতুন ফিচার যা আপনার কম্পিউটারে আপনি কোন কোন কাজ করেছেন তার একটা ছবি বা তথ্য রাখে। এখন আপনি চাইলে এই ডেটা এক্সপোর্ট করতে পারবেন বা রিসেটও করতে পারবেন। এটা গোপনীয়তা রক্ষার জন্য খুবই ভালো।

২. এআই সেটিংস এজেন্ট (AI Settings Agent)

এটি এমন একটি এআই এজেন্ট যা আপনাকে কম্পিউটারের সেটিংস পরিবর্তন করতে সাহায্য করে। আপনি আপনার ভাষায় কম্পিউটারের সেটিংস পরিবর্তনের জন্য কমান্ড দিতে পারেন। যেমন- “কী-বোর্ডের ফন্ট বড় করো” বললেই সেটিংস পরিবর্তন হয়ে যাবে।

৩. ক্লিক-টু-ডু (Click to Do) এআই ফিচার

এখন থেকে আপনি স্ক্রিন থেকে টেক্সট কপি করে সেটাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সারাংশ করতে পারবেন, মেসেজ পাঠাতে পারবেন, বা রিডিং কোচ হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।

৪. রিলাইট (Relight) ফিচার

ফটো এডিটিংয়ে নতুন একটি ফিচার এসেছে যেখানে আপনি ছবি বা ভিডিওতে আলো বাড়াতে পারবেন এবং সেটাকে সুন্দরভাবে সাজাতে পারবেন।

৫. কপিলট ভিশন (Copilot Vision)

এটি এমন একটি ফিচার যা আপনার স্ক্রীনকে দেখতে পারে এবং আপনার জন্য উপযোগী সাজেশন দিতে পারে। এটা সাহায্য করবে আপনাকে আরো দ্রুত কাজ করতে।

৬. কুইক মেশিন রিকভারি (Quick Machine Recovery)

যখন আপনার পিসি স্টার্ট করতে সমস্যা হয়, তখন এই ফিচার দ্রুত সেটাকে ঠিক করে দেয় এবং পিসি চালু হতে সাহায্য করে।


উইন্ডোজ ১১ এর নতুন এআই ফিচারগুলো কিভাবে ব্যবহার করবেন?

১. উইন্ডোজ রিকল ব্যবহার করতে, আপনি উইন্ডোজ সেটিংস থেকে রিকল অপশনে গিয়ে ডেটা এক্সপোর্ট বা রিসেট করতে পারবেন।
২. এআই সেটিংস এজেন্ট এর জন্য আপনার কম্পিউটারে কপিলট+ সাপোর্টেড ডিভাইস থাকতে হবে। সেটিংস এ গিয়ে আপনি ভাষায় কথা বলে বা টাইপ করে কমান্ড দিতে পারবেন।
৩. ক্লিক-টু-ডু এর মাধ্যমে আপনি যেকোনো টেক্সট বেছে নিয়ে সহজে বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন।
৪. রিলাইট ফিচার ফটো এডিটিং সফটওয়্যারে পাওয়া যাবে, যা ছবি সুন্দর করতে সাহায্য করবে।
৫. কপিলট ভিশন আস্তে আস্তে ইউএস এবং অন্যান্য অঞ্চলে পাওয়া যাবে।
৬. কুইক মেশিন রিকভারি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে, আপনাকে কোন সেটিংস পরিবর্তন করতে হবে না।


উইন্ডোজ ১১ এ এই এআই ফিচারগুলো কেন গুরুত্বপূর্ণ?

  • আপনার কাজ দ্রুত এবং সহজ হবে।

  • পিসি ব্যবহার আরও স্মার্ট হয়ে উঠবে।

  • প্রযুক্তির সাহায্যে কাজের মান বাড়বে।

  • কম্পিউটারের বিভিন্ন কাজ কন্ট্রোল করতে হবে কম মেনু দিয়ে।

  • পিসি যখন কোনো সমস্যা দেখাবে, দ্রুত সমাধান পাবে।


সহজ ভাষায় সারাংশ (শ্রেণি ৫ ছাত্রদের জন্য)

উইন্ডোজ ১১-এ নতুন অনেক বুদ্ধিমান কাজের ব্যবস্থা এসেছে। এখন আপনি কম্পিউটারের সেটিংস সহজে পরিবর্তন করতে পারবেন। ছবি সুন্দর করতে নতুন টুল এসেছে। পিসি যদি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়, তখন নিজেই আবার ঠিক হয়ে যাবে। আপনি সহজেই আপনার কাজ করতে পারবেন, আর কম সময় লাগবে।


আরও পড়ুন এবং রেফারেন্স (আউটবাউন্ড লিঙ্ক)

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম