আপনি কি চাচ্ছেন আপনার কম্পিউটারে C ড্রাইভ থেকে D বা E ড্রাইভ তৈরি করতে? আজকের এই গাইডটি শুধু আপনার জন্য। আমরা খুব সহজ ভাষায় শিখবো কিভাবে Windows 10 অথবা Windows 11-এ C ড্রাইভের ফাঁকা জায়গা থেকে নতুন ড্রাইভ তৈরি করবেন।
🖥️ ড্রাইভ কি?
কম্পিউটারের হার্ডডিস্ককে ছোট ছোট অংশে ভাগ করাকে বলা হয় "Partition" বা "ড্রাইভ তৈরি"। যেমনঃ C ড্রাইভে Windows থাকে, D ড্রাইভে ফাইল রাখা হয়। অনেক সময় আমাদের একটাই C ড্রাইভ থাকে। তখন নতুন ড্রাইভ বানানো দরকার হয়।
🔍 কিভাবে জানবেন C ড্রাইভে ফ্রি স্পেস আছে কিনা?
-
My Computer (This PC) ওপেন করুন
-
C ড্রাইভের উপর মাউস রাখুন
-
দেখুন কত GB খালি আছে (যেমনঃ Free Space: 100 GB)
-
যদি 20 GB বা তার বেশি ফাঁকা থাকে, তাহলে আপনি নতুন ড্রাইভ বানাতে পারবেন।
🛠️ নতুন ড্রাইভ/পার্টিশন তৈরি করার ধাপগুলো:
✅ ধাপ ১: Disk Management ওপেন করুন
-
কীবোর্ডে Windows Key + R চাপুন
-
টাইপ করুন:
diskmgmt.msc
-
OK চাপুন
-
Disk Management উইন্ডো ওপেন হবে
✅ ধাপ ২: C ড্রাইভ থেকে স্পেস কমান (Shrink Volume)
-
Disk Management-এ C ড্রাইভের উপর Right Click করুন
-
Shrink Volume... বেছে নিন
-
এখন কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন
-
"Enter the amount of space to shrink in MB" – এখানে আপনি কতটুকু স্পেস D/E ড্রাইভ বানাতে চান তা লিখুন
-
যেমনঃ আপনি যদি 20 GB চান, তাহলে লিখুন
20480
MB
-
-
Shrink বাটনে ক্লিক করুন
👉 এখন আপনি দেখবেন "Unallocated" নামে একটা অংশ তৈরি হয়েছে।
✅ ধাপ ৩: নতুন ড্রাইভ তৈরি করুন (New Simple Volume)
-
Unallocated অংশের উপর Right Click করুন
-
New Simple Volume ক্লিক করুন
-
Next চাপুন
-
কতটা স্পেস দিতে চান সেটা ঠিক করুন (default থাকলে ঠিক আছে)
-
আবার Next চাপুন
-
আপনি D, E, F — যেকোনো এক্সটেনশন বেছে নিতে পারবেন
-
আবার Next > Finish চাপুন
🔔 নতুন ড্রাইভ আপনার "This PC"-তে D বা E ড্রাইভ হিসেবে যোগ হয়ে যাবে।
⚠️ গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা:
-
C ড্রাইভে যদি কম ফ্রি স্পেস থাকে (২০ GB এর নিচে), তাহলে নতুন ড্রাইভ বানানো ঠিক না।
-
কোনো গুরুত্বপূর্ণ ডেটা থাকলে Backup নিয়ে রাখুন।
-
ভুল করে C ড্রাইভ Delete করবেন না!
🔗 [বহিঃসংযোগ / Outbound Link]:
-
মাইক্রোসফট অফিসিয়াল গাইড:
👉 https://support.microsoft.com/en-us/windows/create-and-format-a-hard-disk-partition
🎯 উপসংহার:
এই সহজ গাইডটি অনুসরণ করে আপনি এখন নিজেই খুব সহজে C ড্রাইভ থেকে নতুন ড্রাইভ তৈরি করতে পারবেন। D, E বা অন্য কোনো ড্রাইভ আলাদা করলে আপনার ফাইলগুলো গুছিয়ে রাখতে অনেক সুবিধা হবে। কোনো সফটওয়্যার লাগবে না, শুধুই Windows এর নিজের ফিচার ব্যবহার করলেই হবে।